দেশে চলমান বন্যায় এ পর্যন্ত ১৬১ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ন্যাশনাল হেল্থ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে চলতি মৌসুমে দেশে ২৬ জুন থেকে বন্যা শুরু হয়। তিন ধাপে এ পর্যন্ত ৩৩ জেলার অর্ধ কোটিরও বেশি মানুষ বন্যা কবলে পড়েছে।
সেন্টারের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার জানান, বন্যা উপদ্রুত এলাকায় ডায়রিয়া, চর্মরোগ, চোখের প্রদাহ, শ্বাসনালীর প্রদাহসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৭৭৩ জন। এরমধ্যে ১০ হাজার ২২ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।
বন্যা পুর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভুইয়া জানান, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা অববাহিকায় পানি কমার হার অব্যাহত রয়েছে। গঙ্গা-পদ্মায়ও আগামী ২৪ ঘণ্টায় পানি কমতে পারে।
বন্যার পানিতে ডোবার পাশাপাশি সাপের দংশনে এবং বিভিন্ন রোগে মানুষের মৃত্যু ঘটছে।
৩০ জুন থেকে ৬ অগাস্ট পর্যন্ত পানিতে ডুবে, ডায়রিয়ায়, সাপের কামড়ে ও বজ্রপাতে ১৬১ জনের মৃত্যুর তথ্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষে নথিভুক্ত হয়েছে।
এর মধ্যে পানিতে ডুবে ১৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বজ্রপাতে মারা গেছে ১৩ জন।
২৪ ঘণ্টায় লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জে ১৬ জনের মৃত্যু ঘটেছে।
পানি এখন কমতে থাকলেও আগস্টের শেষে আবার বন্যা হতে পারে বলে আভাস মিলেছে।